Contact me যোগাযোগ


Mufti  Shamsuddoha
Bangladesh.
Mobile :  :  +880-01829118031
E-mail : Muftishamsuddoha@yahoo.com

মুফতি  মুহাম্মদ  শাসছুদ্দোহা
মোহতামিম
জামিয়া  ইসলামিয়া  রওজাতুল  উলূম  মাদ্রাসা    এতীমখানা
বাউনিয়াবাঁধ  ব্লক-সি,  মিরপুর-১১,  ঢাকা-১২১৬

3 comments:

  1. রাসূল সা. নূর না বাশার (মানুষ)

    রাসূল সা. নূর না বাশার
    (রাসূল সা. কিসের তৈরী)
    ভুমিকা
    মহান আলাহ
    তাআলা পরিপূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে অগতি মাখলুক সৃষ্টি করেছেন। এদের
    ভিতর জিন, ফেরেশতা এবং মানুষও অন্তর্ভুক্ত। এদের মাঝে জিনড়বাতকে আগুন দিয়ে
    ফেরেশতাদের নূর দিয়ে আর মানুষকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন। যেমন কুরআনে
    স্পষ্ট বর্ণনায় এসেছে-
    ( واذقال ربك للمملئكة اني خالق بشرا من طین. (ص: ٧١
    অর্থাৎ যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বলল, নিশ্চই আমি মানুষকে সৃষ্টি করব
    মাটি দ্বারা। কিন্তু আলাহ
    তাআলা মানুষকে যেই সম্মান দান করেছেন তা তার
    মাখলুকাতের মধ্যে অন্য কাউকে দেননি । যেমন এই পৃথিবীর খেলাফত ও
    প্রতিনিধিত্ব মানুষকে দিয়ে তাদেরকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করেছেন। ইরশাদ
    হচ্ছে-
    ( واذ قال ربك للملئكة اني جاعل في الارض خلیفة (البقرة : ٣٠
    অর্থাৎ তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদের বললেন আমি পৃথিবীতে একজন
    প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি।
    এ মানুষের হেদায়াত ও পথ প্রদর্শনের জন্য আলাহ
    তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী
    রাসূল প্রেরণ করেছেন। যেহেতু পৃথিবীর প্রতিনিধিত্ব মানষের হাতে দেওয়া হয়েছে
    তাই হেকমতের চাহিদা হলো মানুষের ইসলাহ ও হেদায়াতের জন্য মানষই নবী
    হিসেবে প্রেরিথ হওয়া। এজন্য প্রেরিত সকল আম্বিয়াগণ ছিলেন মাটির তৈরী
    মানষ। এ হিসেবে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ স. ও ছিলেন মাটর তৈরী মানুষ।
    ইরশাদ হচ্ছে-
    ( لقد من الله علي المؤمنین اذ بعث فیھم رسولا من انفسھم. (آل عمران : ١٦٤
    অর্থাৎ আলাহ
    তাআলা ঈমানদারদের উপর তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য
    থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করে অনুগ্রহ করেছেন। এ আয়াত ছাড়াও আরো
    অসংখ্য আয়াত ও হাদীসের মাধ্যমে অকাট্যভাবে বুঝা যায় ও প্রমাণিত হয় যে
    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ স. ও মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন।
    কিন্তু মাটির তৈরী হওয়ার কারণে অন্যদের উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা কোনো
    অংশে কমেনি। যেমন নিমেড়বর উদাহরণ দ্বারা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
    রাসূল সা. নূর না বাশার (মানুষ)

    আলাহ
    পাক সমস্ত নবী রাসূলদের কাছ থেকে নবুওয়াত ও রিসালতের পূর্বশর্ত
    হিসেবে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ স. এর প্রতি ঈমান আনা ও সাহায্য করার
    প্রতিশ্র“তি নিয়ে আমাদের নবীকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় সমাসীন করেছেন। ইরশাদ
    হচ্ছে-
    واذ اخذ الله میثقا النبیین لما آتیتكم من كتاب وحكمة ثم جائكم رسول مصدق لما معكم لنؤمنن
    بھ ولتنصرنھ.
    অর্থাৎ আলাহ
    যখন নবীগণের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন যে আমি যা কিছু
    তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান অতপর তোমাদের নিকট কোনো রাসূল
    আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য। তখন সে রাসূলের প্রতি
    ঈমান আনবে ও সাহায্য করবে। আর যে নবীর প্রতি ঈমান আনতে হয় ঈমান
    আনয়ণকারীরা তার উম্মত হন। সুতরাং সমস্ত নবী ও রাসূলগণ মহানবীর উম্মত
    হলেন। এমর্মে রাসূল স. বলেন যে, আমি নবীগনের নব। এছাড়াও তিনি সমস্ত
    মুত্তাকীন তথা খোদাভীরুদের ইমামও । কেননা তিনি মেরাজের রাতে সমস্ত নবীরাসূে
    লর ইমামতি করেছেন। তাই তিনি সমস্ত নবী-রাসূলদের ইমাম সাব্যস্ত
    হয়েছেন। আর যিনি নবী-রাসূলদের ইমাম হলেন তিনি যে অন্যান্য মুত্তাকীকদের
    ইমাম হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা অন্যান্য মুত্তাকীন রাসূলের চেয়ে
    অধিক মুত্তাকী হতে পারে না। তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হাদীসে রাসূল স. নিজেই
    বলেছেন, কিয়ামতের বিদবসে আমি সমস্ত আদম সন্তানের সরদার হবো। তাই
    বলে আমি অহংকার করি না। আর সে দিন আলাহর
    প্রশংসার ঝাণ্ডা আমার হাতে
    থাকবে এবং আদম সহ সমস্ত নবী রাসূল থাকবেন আমার ঝান্ডার নীচে। এজন্য
    আমি কখনো অহংকার করি না। আমাদের নবীর বৈশিষ্টপূর্ণ সুনামাবলী থেকে
    উদাহরণ স্বরূপ মাত্র দুটি গুন ও মর্যাদার বিবরণ উলেখ
    করে একথাই বুঝানো
    হয়েছে যে, আমাদের মহ নবীর ্এমনসব আলাদা বৈশিষ্টপূর্ণ মর্যাদা ও গুন রয়েছে
    যেগুলি একদিকে যেমন সুস্পষ্টভাবে তাকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট বুঝায় অপরদিকে স্রষ্টা বা
    আলাহর
    সাতে শরীক বা অংশীদার সাব্যস্ত করে না। কিন্তু পরবর্তীতে ইংরেজদের
    দালাল আহমদ রেজা খান নামক এক ভণ্ড ব্যক্তির হাতে রেজভী নামক একটি
    অসার মতবাদের গোড়াপত্তন হয়। যারা মহনবীর মর্যাদা বর্ণনায় তাকে আলেমূল
    গাইব, হাযির-নাযির, আলাহর
    জাতি নূরের অংশ ইত্যাদি বলে অপপ্রচার চালিয়ে
    রাসূল সা. নূর না বাশার (মানুষ)

    রাসূল স. কে আলাহর
    সমকক্ষ বানায় যা সম্পূর্ণরূপে শিরকী আকীদা। আহলে
    সুনড়বাত ওয়াল জামাআত-এর আকীদা বহির্ভুত।
    সুতরাং এজাতীয় কুফরী ও শিরকী আকীদা থেকে বেচে থাকা পরকালে সকল
    মুসলমানের জন্য অপরিহার্য এ দৃষ্টিকোন থেকে মুসলমান জাতীতে শিরকী আকীদা
    খণ্ডন করে সহীহ আকীদার অধিকারী হওয়ার মানসে আমাদের এই রচনায়
    উপরোক্ত আকীদাসমূহ থেকে শুধু রাসূল স. নূরের তৈরী না মাটির তৈরী বিষয়ে
    আলোকপাত করছি।
    এমতবাদের সূচনা

    ReplyDelete
  2. “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত”-এর সংজ্ঞা
    সুন্নাতের বিশ্লেষণ বুঝার পর বুঝতে হবে “আহলে সুন্নাত” এবং “ওয়াল জামাআত” এ দু’টি শব্দের মাহাত্ম্য ও মর্মার্থ।
    ক. এ মর্মে শাইখে তরীকত আব্দুল কাদের জিলানী রহ. ‘গুনিয়াতুত তালেবীন’ নামক কিতাবে লিখেন,
    فعلي المؤمن اتباع السنة والجماعة فالسنة ما سن رسول الله صلي الله عليه وسلم والجماعة مااتفق عليه الصحابة في خلافة الائمة الاربعة رضي الله تعالي عنهم
    “সকল মুমিন মুসলমানের কর্তব্য, তারা যেন “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত”-এর অনুসরণ করে। “সুন্নাত” রাসূল স.এর কথা ও কর্ম ইত্যাদিকে বলা হয়। আর “জামাআত” ঐ সকল শরয়ী বিধান বা আহকামকে বলে, যার উপর চার খলিফার যুগে সাহাবারা একমত ছিলেন”। (সূত্র-রাহে সুন্নাত-পৃ:৩১)
    খ. “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত” প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
    ومن العجب ان الرافضة تثبت اصولا علي ما تدعيه من النص والاجماع وهم ابعد من معرفة النصوص والاجماعات والاستدلال بها بخلاف السنة والجماعة فان السنة تتضمن النص والجماعة تتضمن الاجماع فاهل السنة والجماعة هم المتبعون للنص والاجماع
    “আশ্চর্যের কথা, রাফেযীরা নস,সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা নিজেদের নীতিমালা প্রমাণ করার দাবী করে। অথচ তারা এগুলো বুঝতে ও এর মাধ্যমে দাবী প্রমাণে অক্ষম। পক্ষান্তরে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত” হচ্ছে নস,সুন্নাহ ও ইজমার পূর্ণ অনুসারী। “সুন্নাহ” নসকে ধারণ করে। আর “জামাআত” ধারণ করে ইজমাকে। (মিনহাজুস সুন্নাহ খ:৩ পৃ:৭৩)
    গ. ইরবায বিন সারিয়া রা.এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে,নবীজীর স্পষ্ট বাক্যটি “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” প্রসঙ্গে এভাবে এসেছে
    من يعش منكم بعدي فسيرى اختلافا كثيرا فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ
    “তোমাদের যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে তারা বহু মতানৈক্য দেখতে পাবে। তখন তোমাদের ঈমান রক্ষার একমাত্র উপায় হবে,আমার সুন্নাহ ও হেদায়াত প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার পথকে সর্বশক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরা”। (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং ১৭১৪৫)
    ঘ. ‘হাদীসে ইফতিরাকেউম্মত’ যা নিয়ে পূর্বে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, সেখানে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত”-এর বিবরণ এভাবে এসেছে-
    وتتفرق امتي علي ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار الا واحدة قالوا من هي يارسول الله قال ما انا عليه واصحابي (رواه الترمذي)
    -আর আমার উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। তারমধ্যে একটি দল ছাড়া সবাই হবে জাহান্নামী ।(উপস্থিত সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন) হে আল্লাহর রাসূল ! এ দলটির পরিচয় কী ? উত্তরে রাসূল স. বললেন, যারা আমার “সুন্নাত” ও আমার সাহাবাগণের মতাদর্শে অটল থাকবে”।(তিরমিযী খ:২ পৃ:৯২)
    উক্ত হাদীসটির মধ্যে নাজাতপ্রাপ্ত দলটি ماانا عليه واصحابي শব্দ দ্বারা বুঝিয়েছেন।
    (ঙ) উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় শাহ ওয়ালী উল্লাহ র. বলেন,
    اقول الفرقة الناجية هم الاخذون في العقيدة والعمل جميعا بما ظهر من الكتاب والسنة وجري عليه جمهور الصحابة والتابعين……وغير الناجية كل فرقة انتحلت عقيدة خلاف عقيدة السلف أو عملا دون اعمالهم.(حجة الله البالغة:১/১৭০)
    “আমি বলি নাজাতপ্রাপ্ত একমাত্র জান্নাতী দল তারা, যারা আকীদা-বিশ্বাসে ও আমলের ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবা ও তাবেঈনের আদর্শ আঁকড়ে থাকবে। আর ঐ সমস্ত দলই এর বহির্ভূত, যারা আসলাফের পরিপন্থী আকীদা ও আমলে বিশ্বাসী হবে”। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ খ: ১ পৃ: ১৭০)
    তারপর শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ র. বলেন,
    فأخذوا يتبعون احاديث النبي واثار الصحابة والتابعين والمجتهدين
    “হক পন্থী একমাত্র তারা, যারা রাসূলের হাদীস, সাহাবা ও তাবেঈনের কথা, কর্ম এবং আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের অনুকরণ ও অনুসরণ করে”। (আল-ইনসাফ পৃ:৩৬)
    (চ) ‘শরহে আকাইদে নাসাফী’ নামক কিতাবে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত”-এর সংজ্ঞা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে-
    ماورد به السنة ومضي عليه الجماعة فسموا اهل السنة والجماعة-
    “রাসূলের সুন্নাত ও সাহাবায়ে কেরামের জামাআত দ্বারা প্রমাণিত আকীদায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণেই দলটি “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” নামে অভিহিত হয়েছে”।

    ReplyDelete
  3. “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” নামের উৎস
    উক্ত নামটি গ্রহণ করা হয়েছে রাসূল স. এর একটি হাদীসের সরাসরি শব্দ থেকে, তা হলো:-
    ان بني اسرائيل تفرقت علي ثنتين وسبعين ملة وتتفرق امتي علي ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار الا واحدة قالوا من هي يارسول الله قال ما انا عليه واصحابي (رواه الترمذي)
    অর্থাৎ “বনী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিলো এবং আমার উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। তারমধ্যে একটি দল ছাড়া সবই জাহান্নামী।(উপস্থিত সাহাবাগণ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ দলটির পরিচয় কী? উত্তরে রাসূল স. বললেন: যারা আমার “সুন্নাত ও আমার সাহাবাগণের মতাদর্শে অটল থাকবে”।
    দারুল উলূম দেওবন্দের সাবেক নন্দিত মুহতামিম হাকীমুল ইসলাম কারী তৈয়ব রহ. তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘আকীদাতু তহাবী’র ব্যাখ্যাগ্রন্থে লিখেছেন-
    وفي رواية احمد وابي داؤد : وهي الجماعة وفي رواية من كان علي السنة والجماعة ففيه اشارة الي أن لقب اهل الحق باهل السنة والجماعة مأخوذ من قول النبي صلي الله عليه وسلم……..وهذا اللقب مركب من جزئين منهاج السنة المراد من ما,والذوات القدسية المراد من الجماعة , فمعيار الحق السنة واهلها لا احدهما فقط……فالسنة و اهلها متلازمان …..
    (عقيدة الطحاوي مع الحواشي)
    অর্থাৎ- উক্ত হাদীসের শেষাংশে আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় উল্লেখ আছে: ‘জান্নাতী দলটিই হচ্ছে জামা‘আত। অন্য বিবরণে উল্লেখ আছে, যারা সুন্নাত এবং জামা‘আতের উপর প্রতিষ্ঠিত’ তারাই জান্নাতী দল। সুতরাং এ বিবরণ মতে রাসূলের হাদিসের মর্মই শুধু ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’ নামের উৎস নয় বরং হাদীসের সরাসরি শব্দ থেকেই এ নাম গৃহীত। এ নামের দু’টি অংশ রয়েছে, প্রথমাংশ হচ্ছে সুন্নাতের পথ বা তরিকা। যা আলোচ্য হাদীসে “ما” শব্দটির মর্ম । আর দ্বিতীয়াংশ হচ্ছে সাহাবাগণের পবিত্র আত্মাসমুহ যা “الجماعة” এর মর্ম। সুতরাং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সত্যপন্থী দলটির মানদণ্ড বা মাপকাঠি একটি নয়;বরং দু’টি। রাসূলের সুন্নাত ও সুন্নাতের অনুসারী সাহাবাগণের জামা‘আত। তাই সুন্নাত এবং জামা‘আত একটি অপরটি থেকে অবিচ্ছেদ্য ।
    উল্লিখিত আলোচনা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেলো, রাসুল স.এর প্রসিদ্ধ একটি হাদীসের ভিত্তিতে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” এর নামকরণ করা হয়েছে।
    ইসলামী আকীদার ইমামগণও ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘আত’এর নামকরণের কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে,রাসূল স.এর সুন্নাত ও সাহাবাগণের জামা‘আত দ্বারা যেসব আকীদা-বিশ্বাস প্রমাণিত, তার উপর যারা অটল থাকবে তারাই “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” বলে অভিহিত হবে।
    এ মর্মে ‘শরহে আকাইদে নাসাফী’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, ماورد به السنة ومضي عليه الجماعة فسموا اهل السنة والجماعة- “রাসূলের সুন্নাত ও সাহাবায়ে কেরামের জামা‘আত দ্বারা প্রমাণিত আকীদায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণেই দলটি “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত” নামে অভিহিত হয়েছে”।

    ReplyDelete