Saturday, April 18, 2015

আমাদের নতুন এ উদ্যোগ কেন

আমাদের নতুন এ উদ্যোগ কেন ?
*************************************
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন আমাদের গবেষণা ধর্মী নতুন উদ্যোগের।
তাদের কে বলব, দেখুন ভাই, আমাদের উলামায়ে কেরাম মিডিয়ায়
এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন মাত্র কিছুদিন হল ।
এতদিন পর্যন্ত তারা চাচ্ছিলেন, যেন বিষয়টা ঘরোয়া ভাবে শেষ করা যায়।
কিন্তু দুঃখজনক সত্য হল আমাদের আহলে হাদিস (দাবীদার) ভাইগন বারবার তারিখ দিয়ে ও আসেননি । বরং তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। এমনকি বিভিন্ন টি ভি চ্যানেলে এ নিয়ে তারা প্রকাশ্য বক্তব্য দিতে আরম্ভ করলেন
এবং নিজেদের পক্ষই একমাত্র সঠিক দাবি করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে লাগলেন ।
ফলে সাধারণ জনমনে দীনি যাবতীয় বিষয়ে সংশয় শুরু হল। তারা আমাদের কে ভুল বুঝতে লাগলেন যে , আমাদের কাছে তাহলে আসলে ই কোন দলিল নেই। ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিশেষ করে কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের মধ্যে এর প্রভাব বিস্তার করে সবচেয়ে বেশি। আর আসা ও তো স্বাভাবিক । কেননা তারা তো এক পক্ষের বয়ান শুনছিল।
এখন আপানারা ই বলুন আমরা কি করতে পারি ?
আমরা কি দলিল থাকা সত্যেও সে গুলো উপস্থাপন করব না?
আমারা কি আমাদের উপর আরোপিত প্রশ্নের উত্তর ও দিব না?
দেখুন কথা দিচ্ছি, পারত পক্ষে কাউকে আঘাত দিবনা । আর এটা আমাদের ইচ্ছা ও না ।
আমাদের মুল লক্ষ্য হল দাওয়াত। আমাদের প্রমাণাদি তুলে ধরা। ভুল বুঝা বুঝির অবসান ঘটানো।
যেন শিক্ষিত ছেলে - মেয়েরা কোনটা সঠিক তা খুঁজে নিতে পারেন। আর সাধারণ মানুষ সংশয় মুক্ত আমল করতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদের কে হক জিনিস বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সবশেষে , কলেজ- ভার্সিটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা অবশ্যই নিরপেক্ষ ভাবে বিচার বিশ্লেষণের চেষ্টা করবেন। কোন বিষয়ে সংশয় হলে সরাসরি প্রশ্ন লিখে পাঠাবেন।
আমারা ইন শা আল্লাহ জবাব দেয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ তাআলা তাওফিক দান করুন। আমিন,। www.jirubd.com
জামিয়া ইসলামীয়া রওজাতুল উলুম বাউনিয়াবাঁধ | মাদরাসা ও এতিমখানা
জামিয়া ইসলামীয়া রওজাতুল উলুম বাউনিয়াবাঁধ, মাদরাসা ও এতিমখানা, বাউনিয়াবাঁধ, ব্লক-সি, মিরপুর-১১, পল্লবী, ঢাকা-বাংলাদেশ।
jirubd.com

সরাসরি কোরআন হাদিস মানার দাবীর অসারতা

আমার গবেষণাঃ-১
******************
আগেই বলেছিলাম আহলে হাদিসদের কিছু নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করব। যে গুলো তাদের মুলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। আর এ মূলনীতি গুলোই তাদের ভ্রষ্টতার মুল কারন।
কেননা, এ গুলো অংকের সুত্রের মত। সুত্র সঠিক হলে অংক সঠিক, সুত্র ভুল হলে অংক ভুল। অথচ তারা একবার ও ভেবে দেখছেনা এ মূলনীতিগুলো ইসলাম ও মুসলিমদের কত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং হচ্ছে ও তাই।
আমি তাদের একেকটি মূলনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মূলনীতিঃ সরাসরি একমাত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস মানবঃ
************************************************
( দেখুন স্লোগানটি কত সুন্দর । কিন্তু এ স্লোগান জন্ম দিবে বহু প্রশ্নের । যার কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।)
১। সর্বপ্রথম সমস্যায় পরবেন তারা নিজেরাইঃ-
***************************************************
ক) যে কেউ তাদের কে প্রশ্ন করতে পারেন, আচ্ছা !! যেহেতু আপনারা কোন তাবীল ছাড়া সরাসরি কোরআন হাদিস মানার দাবি করেন । তাহলে আমাদের কে কোরআন - হাদিস থেকে একটা প্রমাণ দেখান যেখানে এ কথাটা সরাসরি বলা আছে? যে একমাত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস মান ? কেননা হাদিসে আছে # আল্লাহর কিতাব # রাসুলের সুন্নাতের কথা। আর হাদিস এবং সুন্নাতের মধ্যে পার্থক্য আছে।
খ) আহলে হাদিস নামটি কোরআন ও সহিহ হাদিস থেকে প্রমাণ করুন?
গ) হাদিসের যে শ্রেণি বিন্যাস ( সহিহ, জইফ, মউজ, হাসান, লি যাতিহি, শাজ, মারফু, মাকতু,) এ গুলো প্রমাণ করুন এতদুভয়ের আলোকে ।
ঘ) বোখারি ও মুসলিম সহিহ এটা কোরআন - হাদিস থেকে প্রমাণ করুন।
ঙ) আমাদের বহুল প্রচলিত ৬ টি হাদিসের কিতাব যে গুলোকে সিহাহ সিত্তা বলা হয় এগুলু যে আসল তা কোরআন - সহিহ হাদিসের আলোকে প্রমাণ করুন।
চ) বর্তমান যে শেখদের কথা আপনারা মানছেন তাদের মানার ব্যপারে কি কোরআন ও সহিহ হাদিসে কোন নিরদেশনা ছিল বা আছে?????
ছ) আহলে হাদিস অনুসারি সবাই কি সরাসরি কোরআন - হাদিস বুঝে? যদি না বুঝে তাহলে তারা কিভাবে চলে ?
জ) যদি কেউ বলে হাদিসের সংজ্ঞা কি ? কোরআন - হাদিসের আলোকে বলুন। বলতে পারবেন?
ঝ) পরিপূর্ণ ভাবে দু রাকআত নামাজ সহিহ হাদিসের আলোকে প্রমাণ করে দেখান। (প্রত্যেক আমলের জন্য ইখতিলাফ ছাড়া আলাদা আলাদা সহিহ হাদিসের দলিল সহ)
********************************************************
এ মুলনীতির কারনে ইসলামের যে ক্ষতিগুলো হবেঃ=
********************************************************
ক) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিস যে গুলো মুহাদ্দিসিনে কেরামদের উসুল অনুযায়ী হয়ত পরিভাষাগত সহির পর্যায়ে নয় কিন্তু আমল যোগ্য। এ ধরনের হাদিস বাদ পড়ে যাবে।
খ) সাহাবাদের মাধ্যমে মীমাংসিত বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে যে কারো প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ( যেমনটা আহলে হাদিসরা অনেক ক্ষেত্রে করছেন ও ।
গ) সাহাবায়ে কেরামগন যে সত্যের মাপকাঠি" আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এ আকিদা ঠিক থাকবেনা ।
ঘ) ফুকাহায়ে কেরামদের বিশাল খিদমাত অনর্থক মনে হবে।
ঙ) মুফাসসিরিনদের বিরাট খিদমত অহেতুক মনে হবে।
চ) তাবীঈ তাবে তাবেইদের কোন মূল্যায়ন থাকবেনা ।
ছ ) রাসুল ঘোষিত শ্রেষ্ঠ ৩ যুগের কথা বেকার হয়ে যাবে ।
জ) অনেক হাদিস যেখানে সাহাবাদের কে মানার কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রশ্নযুক্ত হবে।
ঞ) সাধারণ মুসলমানগণ ধর্ম পালনের ব্যাপারে নিরুৎসাহ বোধ করবে। কেননা এ মূলনীতির উপর চলা তাদের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। চলবে--------
লিপিকায়ঃ মুফতি মুহা.শামসুদ্দোহা আশরাফি । প্রকাশনায় www.jirubd.com

ইমাম কুদুরীর (রহঃ) উপর আনীত অভিযোগের জবাব

আহলে হাদিস (দাবীদার) ভাইদের একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ
হানাফি ফিকহের কিতাবগুলো।
এ জন্য এ গুলোর বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগের ও শেষ নেই।
তাদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল এ গুলোর নাকি
ইমাম আবু হানিফা পর্যন্ত কোন সনদ নাই।
তাদের এ অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।
নিচে ইমাম কুদুরি রহ.এর সনদ উল্লেখ করা হল।
১) ইমাম আবু হানিফা রাহ.
২) ইমাম মুহাম্মদ রহ.
৩) শেখ মুসা আর রাযী রহ.
৪) শেখ আবু সাইদ আল বুরদাই রহ.
৫) শেখ উবাইদুল্লাহ আবুল হাসান আল কুরখি রহ.
৬) শেখ আহ্মদ আল জাসসাস রহ.
৭) শেখ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া আল জুরজানি রহ.
8) শেখ কুদুরি রহ.
সুতরাং বুঝা যায় মাত্র ৬ ওয়াসেতায় ইমাম কুদুরি ইমাম আবু হানিফার শাগরেদ।
আশা করি আমার আহলে হাদিস ভাইগণ বিষয় গুলো নিয়ে পুনরায় ভাববেন।
বিশেষ করে কলেজ- ভার্সিটিতে পড়ুয়া বন্ধুগণ বিষয়টা গুরুত্ত সহকারে নিবেন।
এ বিষয়ে আরও জানতে এ ভিডিও গুলো দেখুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=yP_1dYgO79w
সংকলনেঃ মুফতি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা আশরাফি
প্রচারেঃ www.jirubd.com

তারা মাযহাবকে বিদআত ও ভুয়া প্রমাণ করতে চায়

আমার গবেষণাঃ ২
***********************
আহলে হাদিস (দাবীদার) শাইখগণের আর ও একটি মূলনীতি যদ্দারা তারা খুব সহজেই কলেজ - ভার্সিটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমানদের বুঝাতে সক্ষম হয় যে মাযাহব মান যাবে না।
মূলনীতিটি হলঃ মাযহাব মানার বিষয়টি চতুর্থ শতাব্দীর পর থেকে সূচনা। যা আমাদের নবীজী দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার বহু বছর পরে হয়েছে। আর নববি যুগে ছিলনা পরবর্তীতে এসেছে এমন কাজ ই বিদআত। তাই মাজহাব মানা ও বিদআত।
************************************************************************************
এক কথায় তারা যুগের তফাৎ কে দলিল বানিয়ে দীনের এ মহান খিদমত কে বিদআত ও ভুয়া প্রমাণ করতে চায়।
*************************************************************************************
পর্যালোচনাঃ - প্রথমত তাদের এ দাবি ই ভুল যে নববি যুগে মাজহাব তথা ধর্মীয় বিষয়ে কাউকে মানার প্রচলন ছিলনা। বরং এ প্রচলন ছিল। নিচে তার কিছু প্রমাণ তুলে ধরছি।
(১) রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায বিন জাবাল কে ইয়ামানে গভর্নর হিসেবে পাঠান। লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে কেউ ১ কন্যা ও এক বোন রেহকে মারা গেলে সম্পদ বণ্টন পদ্ধতি কি হবে ? উত্তরে তিনি বলেন প্রত্যেকের অংশ সমান। বোখারি শরিফঃ ৮/৩১৫ হাঃ ৬৭৩৪ সুতরাং বুঝা যায় সোনালী যুগে এর প্রচলন ছিল।
(২) জনৈকা মহিলা নবিজিক এসে বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার স্বামী জিহাদে গেছেন। সে থাকাবস্থায় তার নামাজ ও অন্নান্ন যাবতীয় আমল অনুসরন করতাম। ----
মুসনাদে আহমদ ৩/৪৩৯ , এখানে লক্ষ করুন এক মহিলা সরাসরি নবিজিকে বলছে নামাজ সহ যাবতীয় বিষয়ে আমার স্বামীর অনুস্মরণ করি নবীজী কিছুই বললেন না ।
এতেও বুঝা যায় নববি যুগেই এর প্রমাণ ছিল।
(৩) অপর এক হাদিসে নবীজী বলেনঃ আমি তোমাদের জন্য তাই পসন্দ করি যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ পসন্দ করেন। মুসতাদ রাকে হাকেম ৩/৩১৯ হা ৫৩৯৪
************************************************************************************
এবার আসুন জেনে নেই আহলে হাদিস (দাবীদারদের) মূলনীতি মানলে কি কি সমস্যায় পড়তে হবেঃ
************************************************************************************
(১) তাদের এ মূলনীতি মেনে নেয়া হলে আমাদের অসংখ্য হাদিস ভাণ্ডার কে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) ভুয়া বলার মত সুযোগ সৃষ্টি হবে। যেমনটা আহলে কোরআন দাবীদাররা বলছেও । কেননা নববি যুগে বোখারি, মুলসিম ইত্যাদি নামে কোন কিতাব ছিলনা এবং যারা সংকলক তারাও ছিলনা।
(২) মুহাদ্দিসিনে কেরামদের খিদমাত গুলো কে যে কেউ বিদআত আখ্যা দেয়ার দুঃসাহস করবে। কেননা এ গুলো ২য় শতাব্দীর পর শুরু হয়েছে।
(৩) বর্তমান যে কোরআন আমাদের কাছে আছে (নাউযুবিল্লাহ , আল্লাহ না করেন) এটাকে বিদআত আখ্যা দেয়ার মত পথ সৃষ্টি হবে। কেননা বর্তমান যবর, যের, পেশ অর্থাৎ এরাব বিশিষ্ট ও হুবহু এ তারতিবের কোরআন নবিজির আমলে ছিলনা।
(৪) তাফসিরের খিদমত ও লিখিত কিতাব গুলোকে ভুয়া ও এ কাজ কে অপ্রয়োজনীয় বলার পরিবেশ তৈরি হবে।
(৫) বোখারি, মুসলিম সহ হাদিসের সব কিতাব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে।
(৫) নাহু, সরফ, বালাগাত, ইলমে কালাম ও এ গুলোর উপর রচিত কিতাব কে বিদআত ও ভুয়া বলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা এ সব গুলোই তো নববি যুগের পড়ে সুচিত।
এক কথায় তাদের এ মুলনীতি মানা হলে ধর্মীয় বহু জিনিস যা আজ উম্মাহ সর্বসম্মত ভাবে মেনে নিয়েছে এমন বহু জিনিস প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যাবে।
অথচ আমরা দীনি এ বিষয়গুলোকে ধর্মীয় প্রয়োজনে গ্রহণ করে নিয়েছি।
অনুরূপভাবে যেহেতু মাজহাব মানার বিষয়টি ও ধর্মীয় প্রয়োজনে উলামাদের সর্বসম্মত সম্মতি তথা ইজমার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি তাই এটা মেনে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের কে হক জিনিস গ্রহন করার তাওফিক দান করেন ।
মাসসালাম- মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি
প্রচারে- www.jirubd.com

কুরআনের আলোকে মাযহাব

কুরআনের আলোকে মাযহাব ঃপর্ব (5) আসলে সিরাতে মুস্তাকিম কি ?
**************************************************************************
পঞ্চম আয়াতঃ সূরা- আল ফাতিহা, ৬-৭ আয়াত।
অর্থঃ “হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত কর ।অর্থাৎ তাদের পথে, যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ ।
সরল পথে পরিচালিত কর;এর অর্থই হল,যাদেরকে তুমি নিয়ামত ও পুরস্কার দিয়েছ,তাদের পথ দেখাও।
এখন প্রশ্ন হল -যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন, তাদের পরিচয় কি? এর জবাব হল-তাদের পরিচয় হিসেবে আল্লাহ তাআলা সুরায়ে নিসায় ইরশাদ করেনঃ “যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন, তারা হলেনঃ নবী, সিদ্দিক,শহিদ ও সৎকর্মশিল ব্যক্তিবর্গ।”(দেখুনঃ সূরা- আন নিসা, ৬৯ নং আয়াত।)

তাহলে, যারা নিয়ামত লাভ করেছে তাদের পথে পরিচালিত কর, এর অর্থ হল উক্ত আয়াতে উল্লেখিত চার দল তথা নবী,সিদ্দিক,শহিদ ও সৎকর্ম শীল ব্যক্তিবর্গের পথে পরিচালিত কর। কারন, তাদের পথই সরল পথ। তাই তো তারা হয়েছেন।আর যারা তাদের পথ অনুসরণ করবে তারাও পুরস্কৃত হবে।এখানে একটি জিনিস লক্ষ করুন এখানে আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে সরাসরি কোরআন – হাদিসের কথা বলতে পারতেন । কিন্তু আল্লাহ বললেন চার ধরনের লোকের কথা । যাদের সবাই মানুষ।
সুতরাং এ আয়াত থেকে ও আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য হল সিরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা । আর সেটা এ চার ধরনের লোকের পথ।
প্রিয় পাঠক! আমরা পুরা আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম। দীনি বিষয়ে কোরআন সুন্নাহের ব্যাপারে অভিজ্ঞ লোকদের কথা মানা যাবে। আর এ মানার নাম ই হল মাজহাব। সুতরাং কোরআনের আলোকে মাজহাব মানার প্রমাণ পাওয়া গেলো।
আল্লাহ তাআলা আমাদের ঐ সকল ভাইদের কে বুঝার তাওফিক দান করুক যারা বিভিন্ন শায়খদের কথা শুনে অনর্থক ই মাজহাব কে কোরআন সুন্নাহ বহির্ভূত বলার ব্যর্থ চেষ্টা করেন আমিন।
প্রচারেঃwww.jirubd.com
কুরআনের আলোকে মাযহাব ঃপর্ব (৩)ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষ কে মানা যাবে? চলুন দেখি কোরআন কি বলে?
********************************************
তৃতীয় আয়াত: আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ واتّبع سبيل من أناب اليّ যে আমার অভিমুখী হয়েছে , তুমি তার পথ অনুসরণ কর । সুরা লোকমানঃ ১৫
এ আয়াতে মূলত আবু বকর রা. মতান্তরে সা”দ ইবনে ওয়াককাসের ব্যাপারে মন্তব্য করা হলেও কোন কোন তাফসীর কারক বলেছেন, এখানে উদ্দেশ্য হল , ধর্মানুরাগী মুসলমান ।
আল্লামা জমখসরি লিখেন,আল্লাহ অভিমুখী বলতে মুমিনদের পথ বুঝানো হয়েছে । কাজেই আয়াতের অর্থ হল, তুমি দ্বীন ধর্মের ক্ষেত্রে মুমিনগণের পথ অনুসরণ কর । সুত্রঃ আল কাসসাফ-৩/৪৭৯।
দেখুন এ আয়াতে মুমিন ও ধর্মানুরাগী মুসলমানদের পথে চলার প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে। সরাসরি কোরআন- সুন্নাহ মানার কথা কিন্তু বলা হয়নি। যদ্দার বুঝা যায়, কোরআন – সুন্নাহর অভিজ্ঞ লোকদের কথা মানা যাবে।
এখন আপানারাই বলুন চার ইমাম কি মুমিন ও ধর্মানুরাগী ছিলেননা ? তারা কি কোরআন – সুন্নায় অভিজ্ঞ ছিলেন না ? উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে হ্যাঁ ছিলেন। বরং বলতে হবে নবী ও সাহাবাদের পর তারা যুগ শ্রেষ্ঠ, সর্ব স্বীকৃত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাদের সমকক্ষ এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে কেউ আসেনি। আগামীতে কেউ আসবে কিনা আল্লাহ ভাল জানেন। যদি আসেন তাহলে ভাল কথা । তিনি তার মত করে আমল করবেন।
কিন্তু আমরা যারা এ চার ইমামের তুলনায় কিছুই না আমরা তো তাদের কোরআন- সুন্নাহর আলোকে প্রণীত সমাধান গুলো মানতে পারি। আর এ মানার নাম ই মাজহাব। সুতরাং এ আয়াতের আলোকে ও বুঝা যায়, মাজহাব মানা যাবে।
হে আল্লাহ! আমাদের কে সরল পথে পরিচালিত কর ।অর্থাৎ তাদের পথে যাদের কে তুমি নেয়ামত দান করেছ ।
প্রচারেঃwww.jirubd.com

কেন চার ইমামের অনুসরণ করতে বলা হয়

কেন চার ইমামের অনুসরণ করতে বলা হয়? অন্ধ আনুগত্য করে নাকি বাস্তবেই তারা যোগ্য ছিলেন এ জন্য ????
*********************************************
যে কোন বিষয়ে এমন লোকদের কথাই আমাদের মানা উচিত যাদের রয়েছে এ বিষয়ে প্রচুর ইলম , অভিজ্ঞতা ও গ্রহণ যোগ্যতা।
ইতিহাস খুজলে দেখা যাবে প্রসিদ্ধ চার ইমাম তথা ইমাম আবু হানিফারহ., ইমাম শাফেয়ী রহ. , ইমাম মালেক রহ. ,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. এক্ষেত্রে যতটা এগিয়ে আর কেউ তাদের সমকক্ষ নেই ।
*কেননা কোন একটা জিনিস গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য যা কিছু দরকার তার সবটাই তাদের মধ্যে ছিল।
* এমনকি তারা ছিলেন নবীজি ঘোষিত শ্রেষ্ঠ তিন যুগের মধ্যেই।
*তারা শুধু দু এক বিষয় নয় বরং সর্ববিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন।
* তারা ছিলেন সমহারে গ্রহণযোগ্য।
* তাদের ব্যপারে আইম্মায়ে জরাহ ও তাদিলদের ও কোন দ্বিমত নেই।
*তাদের মতামত গুলো ছিল অন্যদের তুলনায় নির্ভুল।
* কেননা তাদের প্রত্যেকেরই গবেষণা বোর্ড ছিল। যার মাধ্যমে তারা উম্মাহর সমস্যার সমাধান দিতেন। বিশেষ করে ইমাম আবু হানিফার ৪০ জন যুগ শ্রেষ্ঠ উলামাদের সমন্বয়ে ফাতওয়া বোর্ড ছিল।
* তাদের মতামত গুলো যুগের পর যুগ সংরক্ষিত হয়ে আসছে ।
*প্রত্যেক যুগের শ্রেষ্ঠ উলামায়ে কেরাম এ চার মাজহাবের কোন না কোন মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।
*পাশাপাশি তাদের মতামত গুলো গ্রন্থাকারে এখনো পর্যন্ত বহাল আছে।
*প্রত্যেক যুগেই তাদের প্রদত্ত সমাধানের প্রতিনিধিত্য করার মত যোগ্য আলেম ছিল, এখনো আছে। যারা যুগীয় প্রয়োজনে ইমামের দেখানো পথ অনুযায়ী সমাধান দিচ্ছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি সংযোজন / বিয়োজন করতে হয় নিয়ম মেনে তা ও করছেন।
সবচেয়ে বড় কথা হল, চার ইমামের এ কাজ ছিল একেবারে নির্মোহ ও একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্টি করার লক্ষে। তাদের ব্যপারে ভুল বুঝাবুঝি ও সন্দেহ করার ও কোন অবকাশ নাই। কেননা তারা এ টার্গেট নিয়ে কাজ করেন নি যে আমার কিছু অনুসারী হবে বা আমার সুনাম হবে ইত্যাদি । এমন কি তারা এ কথা বলে যাননি যে আমার কথা মানতে হবে।
বরং তারা কোরআন – সুন্নাহর আলোকে , একমাত্র আল্লাহ কে রাজী- খুশি করার জন্য, উম্মাহর আমল করতে যেন সহজ হয় এ লক্ষে ইজতেহাদ করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন। আর এ সমাধান গুলোই পরবর্তীতে দেখা গেল আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে গেল এবং এগুলো উম্মাহ চলার জন্য যথেষ্ট উপযোগী প্রমানিহল। ফলে পরবর্তী উলামাগন তাদের মতামত মানার ব্যপারে ঐক্যমত পোষণ করে নির্দ্বিধায় তাদের মতামত গ্রহণ করেছেন। আলাহামদুলিল্লাহ এখনো এ আমল ই চালু আছে। আগামীতেও বাকি থাকবে ইন শা আল্লাহ। মাঝে যারা বুঝে বা না বুঝে বিরুধিতা করছে তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ।
প্রচারেঃwww.jirubd.com

একটি অযৈাক্তিক (নবীজি কোন মাজহাব মানতেন)প্রশ্নের যুক্তিক জবাব

একটি অযৈাক্তিক (নবীজি কোন মাজহাব মানতেন)প্রশ্নের যুক্তিক জবাব। পর্বঃ (2)
**********************************************************************************
আমাদের কাছে প্রথমে পরিষ্কার হতে হবে মাজহাব কি এবং তা কেন সৃষ্টি হল।
উত্তরঃ মাজহাব হল: কোরআন ও সুন্নায় অভিজ্ঞ ফকিহ মুঝতাহিদ্গন এতদুভয়ের আলোকে যে সমাধান দিয়েছেন তা মেনে নেয়ার নাম ই হল মাজহাব।
আর এ মাজহাব সৃষ্টি ই হয়েছে যেন যারা কোরআন -সুন্নাহ থেকে দলিল খুঁজে আমল করতে সক্ষম নয় তারা যেন দীনের উপর চলতে পারে।
সুতরাং রাসূল স. দুনিয়াতে কারো মাযহাব অনুসরণের প্রয়োজন ছিল না । কারণ তিনি নিজেই তো আল্লাহর পক্ষ থেকে শরীয়ত প্রণয়ন করেছেন । তিনি কার ব্যাখ্যা গ্রহণ করে অনুসরণ করবেন? তিনি কেবল আল্লাহ তায়ালার থেকেই সমাধান জেনে আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন । তাঁর সময়ে মাজহাব থাকার প্রয়োজনীয়তা ছিল না ।
তবে সাহাবীদের সময় থেকে এর নিদর্শন পাওয়া যায় । সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাঃ এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল স. এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক । এছাড়া কারো ব্যাখ্যা নয় । কিন্তু যেই সকল সাহাবা ছিলেন নবীজী সা. থেকে দূরে তারা সেখানকার বিজ্ঞ সাহাবীর মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন । যেমন ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত । আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. কে অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ । চলবে--------------
প্রচারেঃ www.jirubd.com

সাহাবা যুগে তাকলিদের প্রমাণ পর্ব (৬)

সাহাবা যুগে তাকলিদের প্রমাণ পর্ব (৬)
******************************************
সাহাবা যুগে তাকলিদের প্রমাণ পর্ব (১)
******************************************
প্রশ্নঃ আমাদের অনেক ভাই বলেন, সাহাবা যুগে তাকলিদ ছিলনা । তাই আমরা ও কারো তাকলিদ করবোনা । / মাজহাব মানবনা । এটা কি ঠিক ?
উত্তরঃ না ভাই, এটা মোটেও ঠিক নয় । দেখুন , আমি আবারও একটা বিষয় পরিষ্কার করছি । মাজহাব মানা/ তাকলিদ করার মানে কিন্তু এই নয় যে কোন ইমাম মনগড়া কথা বলে যাবেন , আর আমরা তা মেনে নেব । বরং তাকলীদ/ মাজহাব মানার অর্থ হল, একজন ধর্ম বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি কোরআন-সুন্নার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিবেন , আর যারা এ বিষয়ে জানেনা বা জানার সুযোগ নেই তারা তার কথা মতে আমল করবে । এ পদ্ধতি সবসময় ছিল ।
রাসুলের যুগেও সাধারণ সাহাবায়ে কেরাম , যারা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতেন তারা আলেম সাহাবাদের কাছ থেকে জেনে আমল করতেন । আমাদের যে ভাইগণ মাজহাব না মেনে সরাসরি কোরআন হাদিেসর উপর আমল করবেন বলেন, তারাও কিন্তু প্রতিটি কাজ কোরআন হাদিস খুলে তারপর করেন না । বরং তার নিকট গ্রহনযোগ্য শাইখ/ ইমামের কথা মানেন এবং তার রেফারেন্স দেন । যেমন , শাইখ গালিব, জাকির নায়েক, বিন বাজ , আলবানি, ইত্যাদি ।
সুতরাং আমরা হানাফি মাজহাব মানার অর্থ হল, ইমাম আবু হানিফা (রাহ”) কোরআন সুন্নার আলোকে যে সমাধান দিয়েছেন তা মানি । অর্থাৎ তার রেখে যাওয়া উসুল অনুযায়ী কোরআন হাদিস বুঝার চেষ্টা করি । এটা অবৈধ কিছু নয় । কেননা হাদিস যাচাই বাছাই করার বর্তমান নিয়ম কিন্তু রাসুলের যুগে ছিলনা । পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়েছে। আমরা কিন্তু সেগুলো ঠিকই মানছি । তাহলে উসুলে ফিকহ মানতে সমস্যা কি?
প্রচারেঃwww.jirrubd.com
প্রমানঃ মদিনাবাসীর তাকলিদঃ
*******************************
একদল মদিনাবাসি হযরত ইবনে আব্বাস কে মাসআলা জিজ্ঞেস করল যে, ফরয তাওয়াপের পর বিদায়ী তাওয়াপের আগে যদি কোন মহিলার ঋতুস্রাব শুরু হয় তাহলে কি করবে? উত্তরে তিনি বললেন, বিদায়ী তাওয়াফ না করে মক্কা শরীফ ত্যাগ করতে পারবে । মদিনাবাসি যাইদ বিন সাবিতের অনুসরণ করতেন । তাই তারা বলল, আমরা যাইদ কে উপেক্ষা করে আপনার কথা মানতে পারিনা । যেহেতু আপনার ফাতওয়া যাইদের বিপরীতে । সুত্রঃবুখারি-২/৫৪১ ( ১৭৫৮-১৭৫৯)দেখুন, এখানে মদিনা বাসী যাইদ(রা) এর অনুসরণ করতেন যা তাকলিদে শাখসি ছিল । তাই তারা ইবনে আব্বাসের কথা সরাসরি না মেনে বলল ,আমরা আগে জাইদ কে জিজ্ঞাসা করি, তারপর । অথচ এ মাসআলায় ইবনে আব্বাস সঠিক ছিলেন । পরে ইবনে আব্বাস তাদেরকে বুঝিয়ে বললেন, তাহলে তোমরা মদিনায় গিয়ে উম্মে সুলাইম কে জিজ্ঞাসা করে নিবে ।সুত্রঃ আবু দাউদ-তায়ালাসি প্রঃ২২৯ পরবর্তীতে তারা তাই করল । যাইদ বিন সাবিত ও বিষয়টি তাহকিক করে ইবনে আব্বাসের কথা মেনে নেন । দেখুন, কি অপূর্ব অনুসরণ । সাধারনরা এমনিতেই মেনে নিল । আর যিনি বিজ্ঞ , তিনি তাহকিক করার পর মেনে নিলেন । সুতরাং সাহাবারা কারো অনুসরণ করেননি এমনটা বলা ঠিক হবেনা ।
তাছাডা নবী সাঃ পৃথিবী থেকে বিদায়ের পর সাহাবায়ে কেরামের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪৪০০০ তনমধ্যে ১৪৯ জন ছিলেন মুজতাহিদ ছাহাবী ,আর বাকীরা ছিল সাধারন তবকার সাহাবী অথাত তাদের মধ্যে ঐ রকম এজতেহাদ করার ক্ষমতা ছিলনা ,আবার মুজতাহিদ ছাহাবীদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন ১ম তবক্বা ২০ জন ছিলেন ২য় তবক্বার ও ১২২ জন ছিলেন ৩য় তবক্বার , গডে এ ১৪৯জন মূলত এ মুজতাহিদ ছাহাবীদের তাকলীদ করে ছিলেন প্রায় লক্ষাধীক ছাহাবায়ে কেরাম সুতরাং ছাহাবীদের যুগেই মুলত তাকলীদের সূচনা।
প্রচারেঃ www.jirubd.com

সাহাবা যুগে তাকলিদের প্রমাণ পর্ব (৩)
******************************************
প্রমানঃ হযরত আস ওয়াদ বিন ইয়াযিদ বর্ণনা করেন, মু”আজ ইবনে জাবাল গভর্নর হিসেবে ইয়ামানে আগমন করলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি, জনৈক ব্যক্তি ১ কন্যা ও ১ বোন রেখে মারা গেছে। এখন তাদের মাঝে সম্পদ বণ্টনের পদ্ধতি কি হবে? তদুত্তরে তিনি প্রত্যেকের অংশ অর্ধেক বলে সমাধান দেন । বুখারি শরিফ – ৮/৩৫১, হাঃ ৬৭৩৪
পর্যালোচনাঃ ক* মুয়াজ( রা ) একজন নিদৃষ্ট ব্যক্তি মাত্র ।অথচ ইয়ামান বাসী তার অনুসরণ করা ওয়াজিব ছিল । অন্যথায় তাকে প্রেরণ অনর্থক ও অহেতুক গণ্য হবে । যা নবী সা. এর শানের খেলাফ ।
খ) মুয়াজের রা. ইয়ামান গমন রাসুলের যুগেই ছিল। এর মাধ্যমে নির্ধারিত ব্যক্তির অনুসরণ রাসুলের যুগেই শুরু হল । কেননা , রাসুলের জীবিত থাকাকালীন যাবতীয় বিষয়ে মুয়াজের অভিমত দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য ছিল ।
গ) প্রশ্ন ও উত্তর কোথাও দলিল উত্থাপন করা হয়নি । বরং তার প্রতি সু- ধারনার ভিত্তিতে তার কথা মানতে বাধ্য ছিলেন । এটাই তাকলিদে সাখছি ।
সুতরাং এ হাদিস থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে তাকলিদ সাহাবা যুগে ছিল।
প্রচারে: www.jirubd.com

যখন কোন হাদিস সহিহ হবে সেটাই আমার মাজহাব

যখন কোন হাদিস সহিহ হবে সেটাই আমার মাজহাব। এ কথাটির সঠিক অর্থ কি? বিজ্ঞজনদের অভিমতঃ পর্ব- ৪
********************** ************************************************
ইমাম নববি রহ.এর অভিমতঃ
তিনি বললেন ,ইমাম শাফেয়ী রহ. যে এ কথা বলেছেন ( সহিহ হাদিস আমার মাজহাব) এ কথার অর্থ এই নয় যে, যে কোন ব্যক্তি একটি সহিহ হাদিস দেখে বলবে , এটি ইমাম শাফেয়ী রহ. এর মাজহাব এবং সাথে সাথে উক্ত হাদিসের বাহ্যিক অর্থের উপর আমল শুরু করে দিবে।
বাস্তব কথা হল ইমাম শাফেয়ী রহ.এর এ কথা ঐ ব্যক্তির জন্য , যে মুজতাহিদ ফিল মাজহাবের স্তরে উপনীত। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির ইমামের প্রদত্ত ফিকহি সমাধান হাদিসের সাথে তুলনা করার জন্য প্রথম শর্ত হল, উক্ত ব্যক্তি মুজতাহিদ ফিল মাজহাব কিনা সেটা প্রমাণ করা। কেননা মুজতাহিদ ফিল মাজহাব ব্যতীত এ বিষয়ে অন্যদের প্রবেশের ই অধিকার নাই।


যখন কোন হাদিস সহিহ হবে সেটাই আমার মাজহাব। এ কথাটির সঠিক অর্থ কি?
বিজ্ঞজনদের অভিমতঃ পর্ব- 2
********************************************************
শাইখ মোল্লা খাতের তাঁর অমুল্য কিতাব “মাকানাতুস সহিহাইন”এ তাঁর অভিমত পেশ করেনঃ
তিনি বলেন, সম্মানিত ফকিহগন এবং তাদের তাজতুল্য অনুসৃত চার ইমাম প্রত্যেকেই আল কুতুবুস সিত্তাহ সংকলক গণের পূর্ব যুগের । তাই তারা নিজস্য সনদেই হাদিস বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীদের সনদে হাদিস বর্ণনা করেন নি। এ ইমাম গণের নিকট অনেক হাদিস ছিল যে হাদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে তারা শরিয়তের অনেক মাসআলা পেশ করেছেন। কিন্তু সে হাদিস গুলো সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমে পাওয়া যায়না । এখন যে ব্যক্তি মনে করেন বোখারি ও মুসলিম ব্যতীত অন্য কোন কিতাবে সহিহ হাদিস নেই, সে ইমামগণের পেশ করা শরিয়তের উক্ত মাসআলা গুলোর দলিল বোখারি বা মুসলিম শরিফে না পেয়ে মনে করে ইমাম গণের মাসআলা ভিত্তিহীন , এটি সূ স্পষ্ট ভ্রষ্টতা। (মাকানাতুস সহিহাইন,৫১৩)
প্রচারেঃwww.jirubd.com

একটি ভুল ধারণা সংশোধন

একটি ভুল ধারণা সংশোধন
*****************************
অনেকে মনে করে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ শুধু মাত্র মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের এ ধারণা মোটেও ঠিক না। বরং উলামায়ে কেরামের একটি বৃহৎ অংশ নিজেদের জান, মাল, সময় ব্যয় করে অমুসলিমদের মধ্যে ও (দাওয়াত ও তাবলীগের) কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
যার জলন্ত প্রমাণ ইন্ডিয়ার মাও.কালিম সিদ্দিকি দা.বা.। যার হাতে আজ অগনিত বিধর্মী বিশেষ করে হিন্দুরা মুসলমান হয়েছে এবং হচ্ছে। আর বিপথগামী মুসলিম যারা তাঁর হাত ধরে মুরতাদ হওয়া থেকে ফিরে এসেছে তাদের সংখ্যা ও অনেক।
বাংলাদেশেও হুজুরের হাতে গড়া তেজী,উদ্যমী,হক্কানি আলেমদের একটি বৃহৎ জামাত (মা শা আল্লাহ্‌) বিধর্মীদের মাঝে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং সম্পর্ক ও আছে। এইতো সেদিন এক হিন্দু নওজোয়ান আমার কাছে কালিমা পড়তে আসে। আমি তাকে কালিমা পড়িয়ে পরিচয় করিয়ে দেই ঐ ভাইদের সাথে। সাথে সাথেই পরিলক্ষিত হতে থাকে এ কাজে তাদের আগ্রহ আর ত্যাগ কি পরিমাণের। ঐ ভাইয়ের খোঁজ নেয়া শুরু করেন নিয়মিত।
এমনকি তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ও নিজ উদ্যোগে করে দিয়েছেন।
এটি একটি ঘটনা মাত্র। এ রকম হাজারো কাজ আলহামদুলিল্লাহ তারা আনজাম দিচ্ছেন।
বিশেষ করে উত্তর বঙ্গে তারা যে হারে মেহনত দিচ্ছে একমাত্র দ্বীনের খাতিরে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
পরিশেষে শুধু এতটুকুই বলব ঐ ভাইদের, যারা হয়ত না বুঝে অথবা কারো ভুল বুঝানর কারনে দাওয়াত ও তাবলীগ নিয়ে অশোভন কথা বলেন তারা যেন সংযত হন। আর কোন বিষয়ে সন্দেহ , সংশয় বা প্রশ্ন যুক্ত মনে হলে যেন সঠিক টা জেনে নেয়ার চেষ্টা করেন।
আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে বুঝার- আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রচারেঃjirubd.com
কারো কোন প্রশ্ন থাকলে এ সাইটে লিখে পাঠাতে পারেন।

জেনারেল শিক্ষত ও সাধারণ দ্বীনদার ও আহলে হাদিস ভাইদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান

জেনারেল শিক্ষত ও সাধারণ দ্বীনদার ও আহলে হাদিস ভাইদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান
**************************************************************************
আহলে হাদিসদের কিছু প্রশ্নের জবাব মূলক পোস্ট দিচ্ছি বলে দীনি ভাবাপন্ন কিছু জেনারেল শিক্ষিত ও সাধারণ দ্বীনদার ভাইদের মাঝে আমার ব্যপারে কিছুটা ভুল বুঝা বুঝি হচ্ছে বলে আঁচ করছি।আর এ জন্যই দেখছি অনেকে বেশ কড়াভাবে কমেন্টও করছেন।
আসলে কাউকে খাটো, ঘায়েল বা আঘাত দেয়া আমার বা আমাদের কারোরই উদ্দেশ্য না। বরং কিছু ভাইদের সালফে সালেহিন বিরুধী অবান্তর ও অযুক্তিক প্রশ্নের উত্তর দেয়াই উদ্দেশ্য।
দেখুন আহলে হাদিস ভাইদের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোন দুশমনি নেই যে তাদের বিরুদ্ধে লিখতে হবে। এমনকি আমরা তাদের বিরুধিতা ও কিন্তু করছিনা।

কিন্তু দেখুন তারা ঢালাওভাবে মাজহাব অনুসারীদের মুশ্রিক আখ্যা দিয়ে নিজেরাই একমাত্র হকের উপর আছে এমন দাবি করছে। আর একের পর এক বিভিন্ন মতবিরোধ পূর্ণ মাসআলা সাধারণ লোকদের মাঝে তুলে ধরে বিভ্রান্ত করছে।
বলুন তো! সাধারণ মানুষ এর কি বুঝে?আর এর প্রয়োজনও বা কি?
তাদের মতবাদ যারা গ্রহন করেনি বা করছেনা তাদের কে তারা ইমানদার মনে করে কিনা সন্দেহ।আর এজন্যই দেখা যায় তারা অনেক সময় বলে যে এ মতবাদ গ্রহণ করে যেন আমরা নতুন করে মুসলমান হলাম । বলুন ? এটা কি বাড়াবাড়ি না?
দেখুন এটা সাভাবিক কথা যে,আমাদের ব্যাপারে , আমাদের আকিদা - বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লাগাতার একটা পক্ষ প্রশ্ন তুলে ই যাচ্ছে। এমনকি চ্যালেঞ্জও করছে।
এখন আপনারাই বলুন?তাদের জবাব দেয়া কি আমাদের জিম্মাদারি নয়? আপনাদের সামনে কি সঠিক জিনিসগুলো তুলে ধরা আমাদের দায়িত্তের মধ্যে পড়েনা? সঠিক জিনিস জেনেও কি নিশ্চুপ থাকা যায়?হাজার বছরের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে নতুনভাবে যারা উম্মাহর মাঝে সংশয় সৃষ্টি করছে কি তাদের উদ্দেশ্য? এটা কি জানানো দরকার না?
উম্মাহর মান্নবর ইমামদের ব্যাপারে যারা বিশোদগার করছে , মানুষের মধ্যে ভুল কথা প্রচার করছে তা জেনেও আমরা কিভাবে চুপ থাকব?
প্রিয় ভাইয়েরা আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের হৃদয়ে একটুও আঘাত করেনি। বরং ভাল লাগছে। দ্বীনের আপনাদের প্রতি মায়া দেখে। আর নিজেদের বড়ই অপরাধী মনে হচ্ছে এ ভেবে যে ,আমাদের সঠিক কথা গুলো কেন আপনাদের সামনে আগে তুলে ধরিনি?
যাই হোক ,পরিশেষে একটি আহ্বান। আপনাদের প্রতি এবং আহলে হাদিস ভাইদের প্রতি । সেটা হল আপনারা নিরপেক্ষভাবে আমাদের কথাগুলো শুনুন। উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের আমাদের প্রদত্ত জবাব গুলো দেখুন,শুনুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
আল্লাহ্‌ তাতালা আমাদের কে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিনয়াবনতঃ মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী
প্রচারেঃ www.jirubd.com

একটি (নির্মম) বাস্তব ঘটনা

একটি (নির্মম) বাস্তব ঘটনা।
********************************
মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম। আমার বড় ভাইয়ার সাথে চলাফেরা। এ সুবাদে আমার সাথে ও ভালই সখ্যতা। খুবই সহজ সরল। একটা সময় নামাজ - রোজার ধার না ধারলেও ভাইয়া ও আমার প্রচেষ্টায় , দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগিয়ে এখন নামাজ পড়ছেন। হক্কানি উলামাদের খুবই পছন্দ করেন। তাঁর একমাত্র ছেলেকেও মাদরাসায় পড়তে দিয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে বড় একটা গুন, তিনি খুবই পরোপকারী। আমাদের পরিবারের ও অনেক কাজ করে দেন নিঃস্বার্থ ভাবে।
গত দুদিন আগে সে তাঁর মাদরাসায় পড়ুয়া ছেলেকে দেখার জন্য বাড়ি থেকে cng তে করে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের cng টা এক্সিডেন্ট হয়। এতে তিনি সহ আরোহী সবাই আহত হন। তবে এক ভাই খুব বেশী আহত হয়ে পরে থাকেন। কিন্তু উপস্থিত কেউ তাকে সাহায্য করছেনা দেখে রবিউল ভাই নিজের ব্যথার কথা ভুলে তাঁর সভাব সুলভ ঐ আহত ভাইকে তুলে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বললেন এখানে হবে না । তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে নিতে হবে। রবিউল ইসলাম ভাই নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভাড়া দিয়ে তাই করলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তারদের হাতে ঐ লোককে তুলে দিয়ে তিনি কিছুটা নির্ভার হয়ে আসার ইচ্ছা করলে ও পরে আবার ভাবলেন লোকটার কি হয় না হয়? তাই অপেক্ষায় থাকলেন শেষ অবস্থা জানার জন্য।
কিছুক্ষন পর তিনি দেখলেন ঐ আহত লোক বের হয়ে এসেছে। পথিমধ্যেই সে দু চার জন লোকের সাথে কি যেন বলে চলে গেলেন।
এর একটু পরেই রবিউল ইসলাম ভাই দেখলেন কিছু লোক তাঁর দিকে আসছে। এসেই তারা বলল, তুমি ওমোক লোকের মাথা ফাটিয়েছ।
তিনি বললেন না । বরং আমি তাকে উদ্ধার করেছি। যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় আপনারা তাকে ডাকুন।
তারা কোন কথা না শুনে আরও কয়েকজন মিলে রবিউল ভাইকে মারা আরম্ভ করল। এবং একটা পর্যায়ে তাকে হাস্পাতালের একটি কক্ষে বন্ধি করে রাখল।
কিছুক্ষণ পর তাদের আসল চেহারা ও উদ্দেশ্য পরিস্কার হল। তারা উনাকে চাপ দিলেন বিষ হাজার টাকা দেয়ার জন্য। অন্নথায় তাকে ছাড়বেন না।
দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা এ অবস্থা চলার পর তিনি নিরুপায় হয়ে আমার ভাইয়ার কাছে ফোন দিলেন।
ভাইয়াও তাঁর অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। পরে সে জানে রক্ষা পেল।
ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হল, এ কোন ধরনের আচরণ? যাকে উদ্ধার করলেন এই লোক ই তাকে ডাকাতদের হাতে তুলে দিয়ে গেল। তিনি যার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে , নিজের শারীরিক কথা না ভেবে চিকিৎসা দিলেন আর সেই কিনা তাঁর সাথে এ আচরন করল। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। আর সাবধানতার সাথে পা বাড়ানোর তাওফিক দান করুন।
প্রচারেঃ jirubd.com

ইমাম আবু হানিফার (রহঃ) হাদীসের জ্ঞান

প্রশ্নঃ কিছু ভাই বলেন ইমাম আবু হানিফ রহ. হাদিস জানতেন না । এ জন্য তাঁর বর্ণিত হাদিস কম।এ কথা কি সঠিক?
উত্তরঃ না ভাই,এ কথা সঠিক নয়।বরং তিনি হাফেজে হাদিস ছিলেন। অনেক হাদিস তাঁর জানা ছিল। হাদিসের ব্যাপারে শাস্ত্রে তাঁর অবস্থান ছিল অনেক উপরে। যেমনটা বলেছেন ইমাম ইয়াহিয়া ইবনে মুইন রহ. ,ইমাম বোখারি রহ. এর উস্তাদ মাক্কি ইবনে ইবরাহীম রহ.,আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. ,ইয়াহিয়া ইবনে সাইদ আল কাত্তান রহ., প্রখ্যাত তাবেই ইসরাইল রহ. সহ হাদিসের অনেক ইমাম গণ। বাকি বর্ণনা কম হওয়ার কারণ ভিন্ন। যেমনটা ইয়াহইয়া ইবনে নসর রহ.বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি ইমাম আবু হানিফা রহ. কে বলতে শুনেছি , তিনি বলেছেন আমার কাছে হাদিসের বহু বড় সিন্দুক রয়েছে। তা থেকে উপকারী অল্প কিছু হাদিসই আমি বর্ণনা করেছি মাত্র। (আল খাইরাতুল হিসানঃপৃষ্ঠা- ২১১)
প্রচারেঃwww.jirubd.com

পহেলা বৈশাখ বিজাতীয় কালচার

একটু পর্যালোচনা ঃ পহেলা বৈশাখ কখন থেকে শুরু ?
*********************************************************
পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। । গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যোদয় থেকে শুরু এটা নিয়ে অনেকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যোদয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু করে।
গ্রেগরীয় সনের মতন বঙ্গাব্দেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল ‌ বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র। । বঙ্গাব্দ সব সময়ই গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর চেয়ে ৫৯৩ বছর কম।
ইতিহাসঃ
*********
বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে ২টি মত চালু আছে।
প্রথম মত ,
*********
ভারতে ইসলামী শাসনামলে হিজরী পঞ্জিকা অনুসারেই সকল কাজকর্ম পরিচালিত হত। মূল হিজরী পঞ্জিকা চান্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল। চান্দ্র বৎসর সৌর বৎসরের চেয়ে ১১/১২ দিন কম হয়। কারণ সৌর বৎসর ৩৬৫ দিন, আর চান্দ্র বৎসর ৩৫৪ দিন। একারণে চান্দ্র বৎসরে ঋতুগুলি ঠিক থাকে না। আর চাষাবাদ ও এজাতীয় অনেক কাজ ঋতুনির্ভর। এজন্য ভারতের মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে প্রচলিত হিজরী চান্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্রাট আকবর ইরান থেকে আগত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে হিজরী চান্দ্র বর্ষপঞ্জীকে সৌর বর্ষপঞ্জীতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ফতুল্লাহ শিরাজীর সুপারিশে পারস্যে প্রচলিত সৌর বর্ষপঞ্জীর অনুকরণে ৯৯২ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর হিজরী সৌর বর্ষপঞ্জীর প্রচলন করেন। তবে তিনি ঊনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসন আরোহনের বছর থেকে এ পঞ্জিকা প্রচলনের নির্দেশ দেন। এজন্য ৯৬৩ হিজরী সাল থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। ৯৬৩ হিজরী সালের মুহররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস, এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং ১লা বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়।
দ্বিতীয় মত
***********ঃ
- প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খ্রিস্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন। সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন। আধুনিক বঙ্গ, বিহার ও ওড়িশার অধিকাংশ এলাকা তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ অনুমান করা হয় যে, জুলীয় বর্ষপঞ্জীর বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ ৫৯৪ এবং গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর শনিবার ২০ মার্চ ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল।
বৈশাখী উৎসব নামে যা হচ্ছে তা ইসলামী অনুকরণীয় সময়ে ছিলনা
********************************************************************
মুলত পহেলা বৈশাখে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন ১৯১৭ সালে প্রথম হোম কীর্তন ও পুজার মাধ্যমে এ দিবস উদযাপন করেন। যেটা তারা ইংরেজ বিরোধিতার অংশ হিসেবে মনে করে।
মাঝে দীর্ঘ সময় আর কোন আনুষ্ঠানিক রুপে এ ধরনের অনুষ্ঠানের কথা ইতিহাসে পাওয়া যায় না।
১৯৬৭ সালে আবার বৈশাখ পালন শুরু হয়।
আমাদের আদর্শ বিরোধী যা যা হচ্ছেঃ
*************************************
১) এ দিবস কে শুভ মনে করা।
২)মহিলারা হিন্দুদের মত সিধুর লাগানো।
৩) ঢোল তবলা বাজানো
৪) হোলিখেলা
৫) মেলা করা
৬)জুয়ার আড্ডা বসানো
৭) পান্তা ইলিশ খাওয়ার নামে অপচয় করা
৮) মঙ্গল শোভাযাত্রা করা।
১০) বিভিন্ন মূর্তি বানানো
আরও বহু কিছু যার সাথে ইসলাম মুসলমানের কোন সম্পরক নাই।
প্রচারেঃ www.jirubd.com

কিছু উপকারি টিপস জেনে রাখা ভাল

কিছু উপকারি টিপস, জেনে রাখা ভাল
******************************************
৪টি জিনিস শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
(১) গোস্ত খাওয়া (২)সুঘ্রাণ নেয়া(৩)বেশী বেশী গোসল করা(৪)সুতি কাপড় পরিধান করা
৪টি জিনিস দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়
(১) কাবার সামনে বসা(২)শোয়ার সময় সুরমা লাগানো(৩)সবুজ তরুলতা দেখা(৪)পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসা
৪টি জিনিস মেধা বৃদ্ধি করে
(১) অনর্থক কথা থেকে বাঁচা(২)দাঁত পরিষ্কার রাখা(৩)নেককার লোকদের মাজলিসে বসা(৪)উলামায়ে কেরামের সুহবাতে থাকা।
৪টি জিনিস রিজিক বাড়ায়
(১) তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া(২)বেশী বেশী ইস্তেগফার পড়া(৩)বেশী বেশী সদকা।করা (৪)বেশী বেশী যিকির করা। প্রচারেঃwww.jirubd.com

বর্তমান প্রচলিত তাবলীগ জামাত গোমরাহ নয়

বাঁকা প্রশ্নের সোজা উত্তর
প্রশ্নঃবর্তমান প্রচলিত তাবলীগ জামাত গোমরাহ। কেননা তাদের তাবলীগ আর রাসুলের সা. তাবলীগ এক নয় বরং তাদের এ কাজ দাওয়াতের অন্তর্ভুক্তই না। কেননা তারা বিধর্মীদের দাওয়াত দেয় না। দাওয়াত দেয় মুসলিমদের।মুসলিমদের আবার কিসের দাওয়াত?
উত্তরঃ এ কথাটি সঠিক নয়। বরং বর্তমান দাওয়াত ও তাবলীগ জামাত যা মাও.ইলিয়াস রহ.নবীজি সা. ও সাহাবাদের কাজের নমুনা কে সামনে রেখে শুরু করেছেন তা ১০০%হকের উপর আছে। এ ব্যাপারে সমস্ত হক্কানি উলামায়ে কেরাম একমত।
দ্বিতীয়ত আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন তারা অমুসলিমদের কে দাওয়াত দেয় না। এ কথাটি ও সঠিক নয়। ভারতে তাবলীগী একজন মুরুব্বী আছেন মাও.কালিম সিদ্দিকী দা.বা. যার হাতে লক্ষ লক্ষ হিন্দু মুসলিম হয়েছেন।আমাদের বাংলাদেশেও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে বৃহৎ একটি জামাত এ কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন।
তৃতীয়ত আপনার বুঝা উচিত অমুস্লিমদের কাছে দাওয়াত দেয়া হয় ইমানের আর মুসলিমদের কাছে দাওয়াত দেয়া হয় ইমান বাড়ানোর এবং আমল বৃদ্ধি করার এতে সমস্যা কী?
আপনি কী এটা প্রমাণ করতে পারবেন তারা কোন মুসলিমের কাছে গিয়ে বলেছে নতুনভাবে মুসলমান হওয়ার জন্য?বরং তারা বলে আমল বাড়ানোর জন্য। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।
প্রচারে ঃWWW.JIRUBD.COM